Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
অমিত রায়ের মাছচাষের সাফল্যগাথা
ছবি
ডাউনলোড

অমিত রায় ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চোঙাখাতা গ্রামে ১৯৮১ সালের ২রা মার্চ  জন্মগ্রহণ করেন।তাহার পিতার নাম অতুল রায় ও মাতার নাম পূর্ণিমা রানী। তিনি  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাশ করেন। তিনি তার পিতার অনুপ্রেরণায় মাছচাষে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে নিজস্ব উদ্যোগে মোট ০২ টি পুকুর লিজ নিয়ে করে উত্তম মাছচাষ পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক মাছচাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে জেলা মৎস্য দপ্তর ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও ও আশেপাশের সফল খামারীদের সাথে যোগাযোগ করেন। মাছচাষে সফলতার অন্তরায় হিসেবে আধুনিক বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাছচাষ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান ও তার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। যা মাছচাষের আয়-ব্যয়ে প্রভাব ফেলে। অনেকে কাংক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে না পারায় মাছচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে অত্র এলাকার সফল মাছচাষি হিসেবে গুণগত মানসম্পন্ন নিরাপদ প্রোটিন সরবরাহের লক্ষ্যে ২০২২ সালে নিজস্ব ০২ টি পুকুরে তেলাপিয়া ও সাথী ফসল হিসেবে ২৮০০ টি কার্প জাতীয়  মাছের উৎপাদন শুরু তরেন। প্রথম তিন বছরে গড়ে ৩৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে ৯.৫০ লক্ষ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেন।  এরপর মাছ উৎপাদনের পরিধি বেড়ে যায়। এলাকায় মোছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে জেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলা মৎস্য অফিসের সাথে যোগাযোগ করে মৎস্যচাষ সম্পর্কিত কাযক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।তার খামারে মাছচাষের কাযক্রম দেখে অনেক বেকার যুবক মাছচাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। করোনাকালীন সময়েও এলাকার প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাযক্রম চালিয়ে গেছেন। এখন তিনি অত্র এলাকার মাছচাষে পরিচিত একটি মুখ, একজন শিক্ষিত উদ্যোক্তা। বর্তমানে এলাকার জনগণের প্রানীজ আমিষের চাহিদা পূরণ, গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

গুড একুয়াকালচার প্রাকটিসের মাধ্যমে এলাকার জনগণের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তাকে দেখে অন্যরা মাছচাষে এগিয়ে আসবে, অনুপ্রাণিত হবে- এটাই অমিত রায়ের প্রত্যাশা।